টিউমার ও ক্যান্সার

 টিউমার ও ক্যান্সার হলে আপনার করণীয়



টিউমার শব্দটি শুনলে লোকে ভাবে ক্যান্সার, আবার ক্যান্সার শুনলে ভাবে টিউমার কিন্তু দুটোই কি একই!  মোটেও নয় ব্রেস্ট টিউমার কিংবা ব্রেস্ট ক্যান্সার,

একই নয়\ টিউমার হলো কিছু অস্বাভাবিক টিস্যুর সমাবেশ যেখানে কোষগুলো অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সংখ্যা বৃদ্ধি করে।টিস্যু মানে একই ধরনের কিছু কোষ

 যখন কোথাও এক হয়ে একই ধরনের কাজ করে।আমাদের শরীরে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন কোষ আছে।একজন প্রাপ্তবয়স্কের দেহে গড়ে ত্রিশ ট্রিলিয়নের মতো কোষ থাকে। 

জন্মের সময় চার শতাংশের এক শতাংশ থাকে।  কোষের ভেতর কিছু নিয়মে পুরনো কোষ মরে যায়, নতুন কোষ জন্ম নেয়, আবার কিছু কোষ সাইজে বাড়ে, কিছু কোষ সংখ্যায় বাড়ে।

 কোষের এমন সব বৈশিষ্ট্যকে নিয়ন্ত্রণের জন্য কোষের ভেতর কিছু নির্দেশ বা নিয়ম থাকে।সে নিয়মগুলো থাকে ডিএনএতে।কোনো কারণে ডিএনএ-এর মধ্যে থাকা এ নির্দেশ প্রক্রিয়া 

পরিবর্তন হয়ে গেলে কোষগুলো তখন অস্বাভাবিকভাবে নতুন কোষের জন্ম দিতে থাকে, কোষগুলো কাজবিহীন ঘুরে বেড়ায়।

কারণ কোষগুলোতে কোথায় গিয়ে থামতে হবে তার নির্দেশ থাকে না, তখন পরিবর্তিত ডিএনএ-এর নির্দেশে রোবটের মতো একের পর এক নতুন কোষের জন্ম দিতে থাকে,

 বুড়ো কোষগুলোর পটোল তোলার প্রক্রিয়া থেমে গিয়ে আবর্জনার মতো জমা হতে থাকে শরীরে।তখন শরীরের অতিরিক্ত এবং অস্বাভাবিক এ কোষগুলো কোথাও জমা হয়ে একটি 

লাম্প বা প্লি বা চাকতির মতো হয়ে প্রকাশ পেলে তাকে তখন টিউমার বলে।এ টিউমার দু’ধরনের হয়।

.এ  ধরনের টিউমার শুধু এক জায়গাতে বৃদ্ধি পেয়ে এক জায়গাতেই বসে থাকে। এদের বলে বিনাইন টিউমার। তেমন ক্ষতিকারক নয়।আমাদের শরীরে প্রায় ২০০ ধরনের ক্যান্সার

 জাতীয় সমস্যা আছে।এর শুরুটা শরীরের কোনো একটি অংশে হয়। তারপর যখন সেটি শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে, কেবল তখন তাকে ক্যান্সার বলে।তখন তার তৈরি করা

 সমস্যাগুলোকে সহজ করে কেবল ক্যান্সার বলে। এ ক্ষেত্রে যে অঙ্গ বা অংশ থেকে কোষের পরিবর্তনের শুরু, তখন তাকে ওই পার্টের ক্যান্সার বলে।

আবার কিছু ব্যতিক্রম আছে। যেমন- ব্লাড ক্যান্সার, লিউকেমিয়া। 



**টিউমার** এবং **ক্যান্সার** দুটি আলাদা স্বাস্থ্যগত অবস্থা, তবে এদের মধ্যে কিছু মিলও আছে। চলুন, একে একে দেখি:

### টিউমার:

টিউমার হলো শরীরের কোনো নির্দিষ্ট স্থানে অস্বাভাবিকভাবে কোষের বৃদ্ধি বা পঁচনের কারণে গঠিত একটি গোঁড়া বা বস্তু। এটি দুই ধরনের হতে পারে:

1. **বেনাইন (Benign)**: এটা সাধারণত স্বাভাবিক এবং ক্ষতিকর নয়। এর মধ্যে কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রিত থাকে, এবং এটি অন্য কোথাও ছড়িয়ে পড়েনা। সাধারণত সার্জারি করে একে অপসারণ করা যায় এবং পরে এটি পুনরায় দেখা যায় না।

2. **ম্যালিগন্যান্ট (Malignant)**: এটি হলো ক্ষতিকর বা ক্যান্সারজনিত টিউমার, যা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে (মেটাস্ট্যাসিস)। এটি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং চিকিৎসা না করলে প্রাণঘাতী হতে পারে।

### ক্যান্সার:

ক্যান্সার হলো একটি কঠিন রোগ, যেখানে শরীরের কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং বিভাজন ঘটে। সাধারণত শরীরের কোনো একটি নির্দিষ্ট অঙ্গে ক্যান্সার শুরু হয় এবং পরে তা অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ক্যান্সার প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত না হলে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। ক্যান্সারের কিছু সাধারণ প্রকার:

- স্তন ক্যান্সার

- ফুসফুস ক্যান্সার

- প্রোস্টেট ক্যান্সার

- লিভার ক্যান্সার

- কোলন ক্যান্সার


### টিউমার এবং ক্যান্সারের মধ্যে পার্থক্য:

- **টিউমার** সবসময় ক্যান্সার নয়। যেমন, কিছু টিউমার **বেনাইন** হতে পারে, যা ক্ষতিকর নয়। কিন্তু ক্যান্সার সবসময় **ম্যালিগন্যান্ট** এবং তা অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে।

- **ক্যান্সার** নির্দিষ্ট এক ধরনের টিউমার, যা ক্ষতিকর এবং দ্রুত বিস্তার লাভ করে।

### উপসর্গ:

টিউমার বা ক্যান্সারের উপসর্গ নির্ভর করে এর অবস্থান এবং প্রকারের উপর। কিছু সাধারণ উপসর্গ হল:

- অবিরাম জ্বর বা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি

- শরীরের কোনো অংশে গাঁট বা স্ফীতির অনুভব

- অস্বাভাবিক রক্তপাত

- দুর্বলতা বা অবসাদ

- অজানা কারণে ওজন কমে যাওয়া


যদি আপনি বা আপনার কোনো পরিচিত ব্যক্তি উপসর্গগুলো অনুভব করেন, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


টিউমার এবং ক্যান্সার দুটি আলাদা স্বাস্থ্যগত অবস্থা, তবে এদের মধ্যে কিছু মিলও আছে। চলুন, একে একে দেখি:


টিউমার:

টিউমার হলো শরীরের কোনো নির্দিষ্ট স্থানে অস্বাভাবিকভাবে কোষের বৃদ্ধি বা পঁচনের কারণে গঠিত একটি গোঁড়া বা বস্তু। এটি দুই ধরনের হতে পারে:

বেনাইন (Benign): এটা সাধারণত স্বাভাবিক এবং ক্ষতিকর নয়। এর মধ্যে কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রিত থাকে, এবং এটি অন্য কোথাও ছড়িয়ে পড়েনা। সাধারণত সার্জারি করে একে অপসারণ করা যায় এবং পরে এটি পুনরায় দেখা যায় না।

ম্যালিগন্যান্ট (Malignant): এটি হলো ক্ষতিকর বা ক্যান্সারজনিত টিউমার, যা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে (মেটাস্ট্যাসিস)। এটি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং চিকিৎসা না করলে প্রাণঘাতী হতে পারে।

ক্যান্সার:

ক্যান্সার হলো একটি কঠিন রোগ, যেখানে শরীরের কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং বিভাজন ঘটে। সাধারণত শরীরের কোনো একটি নির্দিষ্ট অঙ্গে ক্যান্সার শুরু হয় এবং পরে তা অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ক্যান্সার প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত না হলে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। ক্যান্সারের কিছু সাধারণ প্রকার:


স্তন ক্যান্সার

ফুসফুস ক্যান্সার

প্রোস্টেট ক্যান্সার

লিভার ক্যান্সার

কোলন ক্যান্সার

টিউমার এবং ক্যান্সারের মধ্যে পার্থক্য:

টিউমার সবসময় ক্যান্সার নয়। যেমন, কিছু টিউমার বেনাইন হতে পারে, যা ক্ষতিকর নয়। কিন্তু ক্যান্সার সবসময় ম্যালিগন্যান্ট এবং তা অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে।

ক্যান্সার নির্দিষ্ট এক ধরনের টিউমার, যা ক্ষতিকর এবং দ্রুত বিস্তার লাভ করে।

উপসর্গ:

টিউমার বা ক্যান্সারের উপসর্গ নির্ভর করে এর অবস্থান এবং প্রকারের উপর। কিছু সাধারণ উপসর্গ হল:


অবিরাম জ্বর বা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি

শরীরের কোনো অংশে গাঁট বা স্ফীতির অনুভব

অস্বাভাবিক রক্তপাত

দুর্বলতা বা অবসাদ

অজানা কারণে ওজন কমে যাওয়া

যদি আপনি বা আপনার কোনো পরিচিত ব্যক্তি উপসর্গগুলো অনুভব করেন, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

টিউমার এবং ক্যান্সারের ছবি সংক্রান্ত কিছু তথ্য:

টিউমার:


টিউমার সাধারণত শরীরের কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানে একটি কঠিন বা নরম গুঁট আকারে দেখা যায়। এটি বেশিরভাগ সময় গাঁট বা স্ফীতির মতো অনুভূত হয়।

বেনাইন টিউমার দেখতে সাধারণত মসৃণ এবং একটুকরো হয়, এবং এটি বেশি ক্ষতিকর নয়।

ম্যালিগন্যান্ট টিউমার (যা ক্যান্সারে পরিণত হয়) অসমতল, অস্বাভাবিক আকারের এবং এটি অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ক্যান্সার:

ক্যান্সারের ক্ষেত্রে কোষ দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং এতে মেটাস্ট্যাসিস ঘটে, অর্থাৎ ক্যান্সার অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে।

ক্যান্সারের ছবিতে টিউমারের আশেপাশে অস্বাভাবিক কোষের বৃদ্ধি এবং অতিরিক্ত রক্তনালী দেখতে পাওয়া যায়। এই কোষগুলোর মাঝে বিভাজন ও বিকৃতি ঘটে।

এছাড়া, ক্যান্সারের বিভিন্ন প্রকার (যেমন, স্তন ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার) ছবি দ্বারা বোঝানো হতে পারে, যেখানে টিউমার এবং ক্ষতচিহ্ন দৃশ্যমান থাকে।  

 






Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url